ঈমান ও আকীদা – IslamBangla.Com https://islambangla.com ইসলাম বাংলা ইসলামিক ওয়েবসাইট Tue, 05 Sep 2023 13:36:39 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=5.4.13 https://islambangla.com/wp-content/uploads/2021/04/cropped-7_auto_x2-32x32.jpg ঈমান ও আকীদা – IslamBangla.Com https://islambangla.com 32 32 বুখারী শরীফের ১ম হাদিস | মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী ফল পাবে | বুখারী সবখণ্ড pdf https://islambangla.com/bukhari-sharif-prothom-hadis-niyot/ Thu, 29 Sep 2022 18:13:19 +0000 https://islambangla.com/?p=2167 হুমায়দী (রহঃ) .. আলকামা ইবনু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, আমি উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে

The post বুখারী শরীফের ১ম হাদিস | মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী ফল পাবে | বুখারী সবখণ্ড pdf appeared first on IslamBangla.Com.

]]>
হুমায়দী (রহঃ) .. আলকামা ইবনু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, আমি উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বরের ওপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ প্রত্যেক কাজ নিয়তের সাথে সম্পর্কিত। আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী ফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে দুনিয়া লাভের অথবা নারীকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে- সেই উদ্দেশ্যেই হবে তার হিজরতের প্রাপ্য।

حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ عَلْقَمَةَ بْنَ وَقَّاصٍ اللَّيْثِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ عَلَى الْمِنْبَرِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ ‏”‏‏

তাহক্বীক: মারফু হাদিস।
তাখরীজ : বুখারীঃ তাওহীদ.পাবলিকেশান্স ১, ৫৪, ২৫২৯, ৩৮৯৮, ৫০৭০, ৬৬৮৯, ৬৯৫৩; মুসলিমঃ ৫০৩৬; আবূ দাউদঃ ২২০৩; তিরমিযীঃ ১৭৪৮;

আরওঃ বুখারী শরীফ সবখণ্ড pdf ডাউনলোড করুন (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

Narrated ‘Umar bin Al-Khattab: I heard Allah’s Messenger (sallallahu ‘alaihi wa sallam) saying, “The reward of deeds depends upon the intentions and every person will get the reward according to what he has intended. So whoever emigrated for worldly benefits or for a woman to marry, his emigration was for what he emigrated for.”

ব্যাখ্যাঃ

ইমাম নববী (রহঃ) বলেনঃ নিয়ত বলতে অন্তরের সংকল্প বুঝায়। অন্তরের দৃঢ় সংকল্পই নিয়ত; কিন্তু কিরমানী বলেন, “দৃঢ়তা” নিয়তের শর্ত নয়। এটি একটি অতিরিক্ত বিশেষণ যা নিয়ত শব্দটির পূর্বে যোগ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেনঃ ফকীহগনের মধ্যে নিয়ত সম্পর্কে মতবিরোধ আছে। এটা কি রুকন, না শর্ত? মোটকথা এই যে, কাজের প্রারম্ভে নিয়ত করা রুকন আর কাজের মধ্যে নিয়ত করা জরুরী। নিয়তের মধ্যে শরিয়ত বিরধী কোন সংকল্প থাকতে পারবে না। এটা নিয়তের প্রধান শর্ত।

কোন কাজ করতে যাওয়ার পূর্বে নিয়ত করা অপরিহার্য। শরীয়তের পরিভাশায় আল্লাহর সন্তোষটি এবং তাঁর নির্দেশ পালনের উদ্দেশ্য কাজ করার সংকল্পকে নিয়ত বলা হয়। সৎকাজ করে পুণ্য লাভ করতে হলে তাঁর উদ্দেশ্যও সৎ হতে হবে। কাজের শুভ পরিনতি লাভের জন্য ভালো নিয়ত বা সৎ উদ্দেশ্য একান্ত অপরিহার্য। যথাযথ নিয়ত বা সংকল্প ব্যাতিরেকে আমল সঠিক, পরিপূর্ণ ও পুন্যবহ হতে পারে না।

ইসলামিক বিষয় পড়তে ভিজিট www.IslamBangla.Com | বিভিন্ন তথ্য পেতে ভিজিট  www.sehetu.com

আরওঃ সহীহ বুখারী শরীফ সব খন্ড pdf download, বুখারী শরীফ ১ম খন্ড pdf, বুখারী শরীফ আরবি বাংলা pdf, সহীহ বুখারী শরীফ বাংলা অনুবাদ pdf, সহীহ বুখারী pdf, বুখারী শরীফ মোট কত খন্ড, বুখারী শরীফ ২য় খন্ড pdf, বুখারী শরীফ ইসলামিক ফাউন্ডেশন pdf download, বোখারী শরীফ সব খন্ড pdf, bukhari sharif pdf download, bukhari sharif islamic foundation, sahih bukhari sharif bangla pdf free download, sahih al bukhari bangla pdf download, bangla bukhari sharif pdf, bukhari sharif bangla islamic foundation, bukhari sharif hadees bangla pdf download, bukhari hadith pdf, sahih bukhari bangla tawheed publication pdf, bukhari sharif prothom hadis, বুখারী শরীফ ১ম হাদিস, বুখারি শরীফ প্রথম হাদিস, sob kajer fol niyoter upor nirvorsil, niyoter gurutto hadis, niyoter hadis,
বুখারী তাওহীদ পাবলিকেশন্স pdf, বুখারী ইসলামিক ফাউন্ডেশন pdf, বোখারী শরীফ pdf, বুখারী শরীফ ৬ষ্ঠ খন্ড pdf, বুখারী শরীফ পিডিএফ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বুখারী শরীফ, বুখারী শরীফ তাওহীদ প্রকাশনী, বুখারী pdf download, বুখারী শরীফের খন্ড কয়টি, বুখারী শরীফ pdf download, বুখারী শরীফ আরবী pdf, বুখারী শরীফ হাদিস pdf, বুখারী শরীফ ১ম খন্ড pdf, bukhari sharif bangla pdf, bukhari sharif pdf, sahih bukhari bangla pdf, hadis bangla pdf, sahih bukhari pdf, sahih bukhari hadis bangla pdf, sahih bukhari pdf bangla, bukhari sharif pdf bangla, bukhari sharif bangla pdf all parts download, sahih al-bukhari bangla pdf, sahih al bukhari pdf bangla, bukhari sharif pdf download, bukhari sharif islamic foundation, sahih bukhari sharif bangla pdf free download, sahih al bukhari bangla pdf download, bangla bukhari sharif pdf, bukhari sharif bangla islamic foundation, bukhari sharif hadees bangla pdf download, bukhari hadith pdf, sahih bukhari bangla tawheed publication pdf, 

The post বুখারী শরীফের ১ম হাদিস | মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী ফল পাবে | বুখারী সবখণ্ড pdf appeared first on IslamBangla.Com.

]]>
সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত, অর্থ ও ফজিলত | Sura Hasor Last 3 Ayat https://islambangla.com/surah-hasor-last-3-ayat-fojilot/ Fri, 23 Sep 2022 18:39:41 +0000 https://islambangla.com/?p=2163 সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত বাংলা উচ্চারণ ও ভিডিওসহ ২২ হুওয়াল্লাহুল লাজি লা ইলাহা ইল্লাহু-

The post সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত, অর্থ ও ফজিলত | Sura Hasor Last 3 Ayat appeared first on IslamBangla.Com.

]]>
sura hasorer ses tin ayat

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত বাংলা উচ্চারণ ও ভিডিওসহ

২২

হুওয়াল্লাহুল লাজি লা ইলাহা ইল্লাহু- আলিমুল গাইবি ওয়াশশাহাদাতি হুওয়ার রাহমানুর রাহিম। 

২৩

হুওয়াল্লাহুল লাজি লা ইলাহা ইল্লাহু- আল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। সুবহানাল্লাহি আম্মা ইউশরিকুন। 

২৪

হুওয়াল্লাহুল খালিকুল বারিউল মুছাওয়্যিরু লাহুল আসমাউল হুসনা। ইউসাব্বিহু লাহু মা ফিসসামাওয়াতি ওল আরদি ওহুয়াল আজিজুল হাকিম।

ইসলামিক বিষয় পড়তে ভিজিট www.IslamBangla.Com | মজার খাবার রেসিপি পেতে ভিজিট www.foodingbd.com

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত

মাকিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে (ঘুম থেকে) উঠে তিনবার বলবে, ‘‘আ‘ঊযু বিল্লা-হিস সামী‘ইল ‘আলীমি মিনাশ্ শাইত্ব-নির রজীম’’ এবং এরপর সূরা হাশর-এর শেষের তিন আয়াত পড়বে আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য সত্তর হাজার মালাক (ফেরেশতা) নিযুক্ত করবেন। এরা তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত দু‘আ করতে থাকবেন। যদি এ দিন সে মারা যায়, তার হবে শাহীদের মৃত্যু। যে ব্যক্তি এ দু‘আ সন্ধ্যার সময় পড়বে, সেও এ একই মর্যাদা পাবে।

তিরমিযী ২৯২২, আহমদ ২০৩০৬, দারেমী ৩৪৬৮, মুজামুল কাবীর লিত তাবারানী ৫৩৭, শুআবুল ঈমান ২২৭২, যঈফ আত তারগীব ৩৭৯, যঈফ আল জামি‘ ৫৭৩২

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত, সূরা হাশরের শেষ দুই আয়াত, হাশরের শেষ তিন আয়াত ফজিলত, সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত তেলাওয়াত, সূরা আল হাশরের শেষ তিন আয়াত, সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত অর্থ, , hasorer ses 3 ayat, hasorer 3 ayat, hasorer ses 3 ayat bangla, surah hasorer ses 3 ayat, hasorer 3 ayat bangla, sura hasorer 3 ayat, sura hasorer sesh 3 ayat

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত ফজিলত, সুরা হাশরের ৩ আয়াত, হাশরে তিন আয়াত, সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত তেলাওয়াত, সূরা আল হাশর শেষ তিন আয়াত, সূরা হাশরের শেষ ৩ আয়াত বাংলা উচ্চারণ, সুরা হাশরের শেষ ৩ আয়াত, সুরা হাশরের তিন আয়াত, sura hasorer ses 3 ayat, surah hashr last 3 ayat bangla, sura hasorer ses 3 ayat bangla, hasorer ses tin ayat bangla, surah hashr last 3 ayat bangla, sura hasorer ses 3 ayat bangla uccharon, surah hasorer ses 3 ayat bangla, sura hasorer ses 3 ayat mp3 download, hasorer sesh 3 ayat, sura hasorer ses tin ayat, sura hasorer ses 3 ayat in bangla, sura hasorer ses 3 ayat bangla, surah hashr last 3 ayat bangla

The post সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত, অর্থ ও ফজিলত | Sura Hasor Last 3 Ayat appeared first on IslamBangla.Com.

]]>
Sehri Iftar Doa | সেহরি ও ইফতারের দোয়া ও সময়সূচি https://islambangla.com/ramadan-sehri-iftar-doa/ Sun, 06 Mar 2022 09:36:56 +0000 https://islambangla.com/?p=2119 রমজানের রোজা পালনের সবেচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি অংশ (Sehri Iftar), যার প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি। তার প্রথমটি

The post Sehri Iftar Doa | সেহরি ও ইফতারের দোয়া ও সময়সূচি appeared first on IslamBangla.Com.

]]>
রমজানের রোজা পালনের সবেচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি অংশ (Sehri Iftar), যার প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি। তার প্রথমটি হলো শেষ রাতের সাহরি। আর দ্বিতীয়টি হলো সন্ধ্যায় ইফতার। রোজা পালনে ইফতার ও সাহরির রয়েছে সুন্নাত পদ্ধতি।

সাহরি খাওয়ার মাধ্যমে রোজার সূচনা হয় আর ইফতার করার মাধ্যমে রোজা সম্পন্ন করা হয়। তাই ইফতার ও সাহরি সুন্নাত পদ্ধতিতে করাই আবশ্যক।

রোজা রাখার নিয়ত

نويت ان اصوم غدا من شهر رمضان المبارك فرضا لك ياالله فتقبل منى انك انت السميع العليم

বাংলা উচ্চারণঃ (নাওয়াইতু আন আছুমা গদাম মিং শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আংতাস সামীউল আলীম)

অর্থ / বাংলা নিয়ত: হে আল্লাহ! আগামীকাল পবিত্র রমযান মাসে তোমার পক্ষ হতে ফরয করা রোজা রাখার নিয়ত করলাম, অতএব তুমি আমার পক্ষ হতে কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

ইফতারের দোয়া

iftar doa

বাংলা উচ্চারণঃ (আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া তাওয়াক্কালতু আ’লা রিজক্বিকা ওয়া আফতারতু বি রাহমাতিকা ইয়া আর্ হামার রা-হিমীন।)

অর্থ / বাংলা নিয়ত: হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্ব দ্বারা ইফতার করছি।

ইফতারের আগ মুহূর্তে বেশি বেশি ইসতেগফার পড়া

Istagfar Astagfirullaha rabbi minkulli

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি এখানে ক্লিক করুন 

বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় জানতে ভিজিট করুন www.prosno.xyz | সাথেই থাকুন www.IslamBangla.Com ভিজিট করতে থাকুন ।

The post Sehri Iftar Doa | সেহরি ও ইফতারের দোয়া ও সময়সূচি appeared first on IslamBangla.Com.

]]>
ফরজ গোসল কি? ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম | Foroj Gosol https://islambangla.com/how-to-do-islamic-bath/ Wed, 05 Jan 2022 10:07:50 +0000 https://islambangla.com/?p=2087 গোসল আরবি শব্দ (Foroj Gosol)। অঞ্চলভেদে একে অনেকে গোসল করা বললেও কেউ স্নান করা, নাইতে

The post ফরজ গোসল কি? ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম | Foroj Gosol appeared first on IslamBangla.Com.

]]>
foroj gosol

গোসল আরবি শব্দ (Foroj Gosol)। অঞ্চলভেদে একে অনেকে গোসল করা বললেও কেউ স্নান করা, নাইতে যাওয়াও বলে থাকে। তবে আরবি গোসল শব্দের অর্থ হচ্ছে পুরো শরীর ধোয়া। আর ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় পবিত্রতা ও আল্লাহর নৈকট্য পাওয়ার উদ্দেশ্যে পবিত্র পানি দ্বারা পুরো শরীর ধোয়াকে ‘গোসল’ বলা হয়।

গোসল ফরজ কি?

অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক যে গোসল করতে হয় তাই ফরজ গোসল। তিনটি অবস্থায় এ গোসল ফরজ হয়। এ অবস্থায় গোসল না করলে অপবিত্র থাকতে হয়। পবিত্রতার ফজিলত ও উপকারিতা অনেক।

বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় জানতে ভিজিট করুন www.prosno.xyz | সাথেই থাকুন www.IslamBangla.Com ভিজিট করতে থাকুন ।

ফরজ গোসলের কেন এবং সঠিক নিয়ম

কোরআন মাজিদে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা তাওবাকারী ও পবিত্রতা অর্জনকারীকে ভালবাসেন। [সূরা বাকারা] রাসূল সা. এরশাদ করেন, ‘যখন কোনো মুসলিম অথবা মুমিন বান্দা অজু করে আর সে তার মুখ ধোয় তখন অজু অথবা অজুর পানির শেষ ফোঁটার সঙ্গে সঙ্গে তার চেহারা থেকে সব গুনাহ বের হয়ে যায়, যা সে তার দু’চোখ দিয়ে করেছিল। যখন সে তার দু’হাত ধোয় তখন অজুর পানি অথবা অজুর পানির শেষ ফোঁটার সঙ্গে সঙ্গে তার উভয় হাত থেকে সব গুনাহ বের হয়ে যায়, যা সে তার হাত দিয়ে করেছিল। শেষ পর্যন্ত সে তার গুনাহ থেকে পাক হয়ে যায়।’ [তিরমিযী]

ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম না জানার কারণে অসংখ্য মুসলিম ভাই- বোনের সালাত সহ নানা আমল কবুল হয় না। যেটা ঈমানের ক্ষেত্রে চরম ভয়ানক ব্যাপার।

যে সব কারণে গোসল ফরজ হয় (Why Foroj Gosol)

১. স্বপ্নদোষ বা উত্তেজনাবশত বীর্যপাত হলে।

২. নারী-পুরুষ মিলনে (সহবাসে বীর্যপাত হোক আর নাই হোক)।

৩. মেয়েদের হায়েয-নিফাস শেষ হলে।

৪. ইসলাম গ্রহন করলে(নব-মুসলিম হলে)।

ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম কানুন

১. গোসলের জন্য মনে মনে নিয়্যাত করতে হবে। বাড়তি মুখে কোন আরবি শব্দ উচ্চারণ করে নিয়্যাত করা বিদ’আত।

২. প্রথমে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধুতে হবে।

৩. এরপর ডানহাতে পানি নিয়ে বামহাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার আশপাশ ভালো করে ধুতে হবে। শরীরের অন্য কোন জায়গায় বীর্য বা নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও ধুতে হবে।

৪. এবার বামহাতকে ভালো করে ধুইয়ে পেলতে হবে।

৫. এবার ওজুর নিয়মের মত করে ওজু করতে হবে তবে দুই পা ধুয়া যাবে না।

৬. ওজু শেষে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।

৭. এবার সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে ৩ বার ডানে তারপরে ৩ বার বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে ধুতে হবে, যেন শরীরের কোন অংশই বা কোন লোমও শুকনো না থাকে। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় পানি দিয়ে ধুতে হবে।

৮. সবার শেষে একটু অন্য জায়গায় সরে গিয়ে দুই পা ৩ বার ভালোভাবে ধুতে হবে।

তবে মনে রাখতে হবে,

১. পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে।

২. এই নিয়মে গোসলের পর নতুন করে আর ওজুর দরকার নাই, যদি ওজু না ভাঙ্গে।

ফরজ গোসলে অবহেলার শাস্তি (Punishment for avoiding Foroj Gosol)

নারী হউক পুরুষ হউক সকলকে রাসূলুল্লাহ (সা) পর্দার মধ্যে গোসল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমি আমার এক প্রতিবেশীর জানাজায় যোগদান করি। তার লাশ কবরে নামানোর সময় বিড়ালের ন্যায় একটি অদ্ভুত জানোয়ার কবরের ভিতরে বাইরে লম্বঝম্প করে লাশ কবরে নামাতে বাধার সৃষ্টি করতে লাগলো। সেটিকে তাড়াবার জন্য সকলে মিলে চেষ্টা করলাম। কিন্তু কোনো প্রকারই দূর করা গেল না। ব্যর্থ হয়ে অন্যত্র গিয়ে কবর খনন করা হল। সেখানে গিয়ে জন্তুটি ভয়ানক উৎপাত করতে লাগলো। সেটিকে মারতে গিয়েও সর্ব প্রকার চেষ্টা ব্যর্থ হলো।

অগত্যা বাধ্য হয়ে অন্যত্র গিয়ে তৃতীয় কবর খনন করা হল। সেখানে গিয়েও জন্তুটি আরও বেশি উপদ্রব শুরু করলো। অনন্যোপায় হয়ে আমরা তাড়াতাড়ি তৃতীয় কবরেই তাকে দাফন করতঃ সভয়ে দ্রুতপদে সেখানে হতে প্রস্থান করলাম। দাফনান্তে কবর হতে বজ্রবৎ ভীষণ এক আওয়াজ বের হয়েছিল। আমি জানার জন্য তার স্ত্রীর কাছে জিজ্ঞেস করলাম, তার স্ত্রী উত্তর দিলো, সহবাসের পর তিনি ফরজ গোসলে অবহেলা করতেন। এতে তার ফজরের নামাজ কাজা হয়ে যেতো। এছাড়া তার অন্য কোনো পাপ আমি কখনো দেখি নাই।

মহান আল্লাহ আমাদের সঠিক ও বুঝে শুনে আমলের তৌফিক দান করুন। আমিন

The post ফরজ গোসল কি? ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম | Foroj Gosol appeared first on IslamBangla.Com.

]]>
ইসলাম ও ঈমান বিনষ্টকারী ১০টি বিষয় | 10 Reasons of Destroying Islam https://islambangla.com/10-reasons-of-destroying-islam-and-iman/ Wed, 15 Dec 2021 10:25:18 +0000 https://islambangla.com/?p=2046 সম্মানিত আলেমগণ উল্লেখ করেছেন যে, একজন মুসলিম ইসলাম বিনষ্টকারী বিভিন্ন কর্মের মাধ্যমে মুরতাদ (ধর্ম ত্যাগী)

The post ইসলাম ও ঈমান বিনষ্টকারী ১০টি বিষয় | 10 Reasons of Destroying Islam appeared first on IslamBangla.Com.

]]>
সম্মানিত আলেমগণ উল্লেখ করেছেন যে, একজন মুসলিম ইসলাম বিনষ্টকারী বিভিন্ন কর্মের মাধ্যমে মুরতাদ (ধর্ম ত্যাগী) হয়ে যেতে পারে এবং এ কারণে তার জীবন নাশ করা ও সম্পদ ক্রোক করা বৈধ বলে বিবেচিত হবে। আর এ কারণে সে ইসলামের গণ্ডি থেকেও বেরিয়ে যাবে। বিষয় দশটি (10 Reasons of Destroying Islam and Iman) যা বর্ণনা করেছেন ইমাম মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল ওয়াহাব ও অন্যান্য আহলে ইলমগণ।

ইসলাম ও ঈমান বিনষ্টকারী ১০টি বিষয় | 10 Reasons of Destroying Islam:

প্রথম: আল্লাহ তা‘আলার ইবাদতে শির্ক করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَغۡفِرُ أَن يُشۡرَكَ بِهِۦ وَيَغۡفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَآءُۚ وَمَن يُشۡرِكۡ بِٱللَّهِ فَقَدِ ٱفۡتَرَىٰٓ إِثۡمًا عَظِيمًا ٤٨﴾ [النساء: ٤٨]

‘‘নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শির্ক করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্য অপরাধ যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করেন’’। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৪৮]

দ্বিতীয়: যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার নিজের মাঝে মাধ্যম সাব্যস্ত করে তাদের নিকট প্রার্থনা করে, তাদের শাফা‘আত বা সুপারিশ কামনা করে, তাদের ওপর নির্ভর করে, সর্বসম্মতিক্রমে সে কাফির হয়ে যাবে।

তৃতীয়: যে ব্যক্তি মুশরিকদেরকে বা অংশীবাদিদেরকে কাফির মনে করে না, অথবা তাদের কাফির হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করে অথবা তাদের ধর্মকে সঠিক মনে করে সে কাফির হয়ে যাবে।

চতুর্থ: যে ব্যক্তি বিশ্বাস পোষণ করে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শের চেয়ে অন্য আদর্শ আরো বেশি পূর্ণাঙ্গ অথবা তাঁর হুকুম বা বিধানের চেয়ে অন্যের হুকুম বা বিধান আরো উত্তম। যেমন, কোনো ব্যক্তি যদি তাগুতের বিধানকে রাসূলের বিধানের উপরে প্রাধান্য ও অগ্রাধিকার দেয় সে ব্যক্তি কাফির হয়ে যাবে।

পঞ্চম: রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনিত কোনো বিধানকে যে ব্যক্তি অবজ্ঞা বা ঘৃণা করবে সে কাফির বলে বিবেচিত হবে। এমনকি যদি সে ঐ বিধান অনুযায়ী আমলও করে থাকে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ كَرِهُواْ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأَحۡبَطَ أَعۡمَٰلَهُمۡ ٩﴾ [محمد: ٩]

“এটা এজন্য যে, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তারা তা অপছন্দ করে। সুতরাং আল্লাহ তাদের কর্ম নিষ্ফল করে দিবেন”। [সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ৯]

ষষ্ঠ: যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দীনের কোনো বিষয়কে অথবা সাওয়াব বা শাস্তি নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করবে সে কাফির বলে বিবেচিত হবে। এ কথার প্রমাণ হলো আল্লাহ তা‘আলার নিম্নোক্ত বাণী:

﴿وَلَئِن سَأَلۡتَهُمۡ لَيَقُولُنَّ إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلۡعَبُۚ قُلۡ أَبِٱللَّهِ وَءَايَٰتِهِۦ وَرَسُولِهِۦ كُنتُمۡ تَسۡتَهۡزِءُونَ ٦٥ لَا تَعۡتَذِرُواْ قَدۡ كَفَرۡتُم بَعۡدَ إِيمَٰنِكُمۡۚ﴾ [التوبة: ٦٥، ٦٦]

“নিশ্চয় আপনি তাদেরকে প্রশ্ন করলে তারা বলবে, আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও ক্রীড়া-কৌতুক করছি। বলুন, তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর নিদর্শন ও তাঁর রাসূলকে বিদ্রূপ করছিলে? ওযর পেশ করো না, তোমরা ঈমান গ্রহণ করার পর কাফির হয়ে গেছ”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৬৫-৬৬]

সপ্তম: জাদু করা। যেমন, এর মাধ্যেমে বিচ্ছেদ ঘটানো বা এর মাধ্যমে প্রেম-ভালোবাসা সৃষ্টি করা। যে ব্যক্তি এ কাজ করল অথবা একাজে সে সন্তুষ্ট থাকল সে কুফুরী করল। এর প্রমাণ

আল্লাহ তা‘আলার নিম্নোক্ত বাণী:

﴿وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنۡ أَحَدٍ حَتَّىٰ يَقُولَآ إِنَّمَا نَحۡنُ فِتۡنَةٞ فَلَا تَكۡفُرۡۖ فَيَتَعَلَّمُونَ مِنۡهُمَا مَا يُفَرِّقُونَ بِهِۦ بَيۡنَ ٱلۡمَرۡءِ وَزَوۡجِهِ﴾ [البقرة: ١٠٢]

“আর তারা দু‘জন (হারুত ও মারুত) এ কথা না বলে কাউকে (জাদু) শিক্ষা দিত না যে, আমরা পরীক্ষা বৈ কিছু নই। অতএব, (জাদুকর্ম করে) তোমরা কুফুরী করো না’’। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১০২]

অষ্টম: মুশরিকদের সংগে বন্ধুত্ব করা ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদেরকে সাহায্য করা। এর দলীল আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী:

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَتَّخِذُواْ ٱلۡيَهُودَ وَٱلنَّصَٰرَىٰٓ أَوۡلِيَآءَۘ بَعۡضُهُمۡ أَوۡلِيَآءُ بَعۡضٖۚ وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمۡ فَإِنَّهُۥ مِنۡهُمۡۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلظَّٰلِمِينَ ٥١﴾ [المائ‍دة: ٥١]

“হে মুমিনগণ! ইয়াহূদী ও খৃস্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, তারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম জাতিকে সৎপথে পরিচালিত করেন না’’। [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত-৫১]

নবম: কোনো ব্যক্তি যদি মনে করে যে, কারো কারো জন্য মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শরী‘আত হতে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে, যেমন খিযিরের জন্য মূসা আলাইহিস সালামের শরী‘আত থেকে বের হওয়া বৈধ ছিল, সে (এ রকম বিশ্বাসকারী ব্যক্তি) কাফির হয়ে যাবে।

কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿وَمَن يَبۡتَغِ غَيۡرَ ٱلۡإِسۡلَٰمِ دِينٗا فَلَن يُقۡبَلَ مِنۡهُ وَهُوَ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٨٥﴾ [ال عمران: ٨٥]

“আর যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো দীন তালাশ করে, কস্মিনকালেও তার নিকট থেকে তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’’। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫]

দশম: আল্লাহর দীন থেকে বিমুখ হয়ে থাকা। দীন সম্পর্কে জানতেও চেষ্টা না করা এবং তদনুযায়ী আমল না করা। এর প্রমাণ আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী:

﴿وَمَنۡ أَظۡلَمُ مِمَّن ذُكِّرَ بِ‍َٔايَٰتِ رَبِّهِۦ ثُمَّ أَعۡرَضَ عَنۡهَآۚ إِنَّا مِنَ ٱلۡمُجۡرِمِينَ مُنتَقِمُونَ ٢٢﴾ [السجدة: ٢٢]

“ঐ ব্যক্তির চেয়ে আর বড় যালিম কে হতে পারে, যাকে তার রবের আয়াতসমূহ দিয়ে উপদেশ প্রদান করা হয় অথচ সে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়? অবশ্যই আমরা অপরাধীদের নিকট থেকে প্রতিশোধ গ্রহণকারী’’। [সূরা আস-সাজদাহ, আয়াত: ২২]

ইসলাম বিনষ্টকারী এসব কাজ ঠাট্রা-বিদ্রূপের সাথে করা হোক অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হোক কিংবা ভয় করে করা হোক (ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবার ব্যাপারে) এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তবে জোর করে কাউকে যদি এমনটি করতে বাধ্য করা হয় এবং নিরুপায় হয়ে সে যদি এমন ধরনের কিছু করে তা হলে সে কাফির বলে বিবেচিত হবে না। 

আল্লাহ আমাদের সঠিক আমলের তৌফিক দান করুক। আমিন।

বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় জানতে ভিজিট করুন www.prosno.xyz | সাথেই থাকুন www.IslamBangla.Com ভিজিট করতে থাকুন ।

সুত্রঃ ইসলাম হাউজ

The post ইসলাম ও ঈমান বিনষ্টকারী ১০টি বিষয় | 10 Reasons of Destroying Islam appeared first on IslamBangla.Com.

]]>
মহান আল্লাহর আরশ ও কুরসি সম্পর্কে ১০ তথ্য, আরশের ফেরেশতা, সৃষ্টির বিশালতা https://islambangla.com/allah-aras-and-kurci-and-its-feresta/ Mon, 06 Dec 2021 14:58:56 +0000 https://islambangla.com/?p=2035 আরশ মহান আল্লাহর বৃহত্তম সৃষ্টি। এর ওপর রাব্বুল আলামিন তাঁর মর্যাদা ও অবস্থান অনুযায়ী সমাসীন।

The post মহান আল্লাহর আরশ ও কুরসি সম্পর্কে ১০ তথ্য, আরশের ফেরেশতা, সৃষ্টির বিশালতা appeared first on IslamBangla.Com.

]]>
আল্লাহর আরশ Allah Arasআরশ মহান আল্লাহর বৃহত্তম সৃষ্টি। এর ওপর রাব্বুল আলামিন তাঁর মর্যাদা ও অবস্থান অনুযায়ী সমাসীন। ইরশাদ হয়েছে, ‘মহিমান্বিত আল্লাহ, যিনি প্রকৃত মালিক, তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি সম্মানিত আরশের অধিপতি। (সুরা মুমিনুন-১১৬) আরশ কুরসি সম্পর্কে দশটি তথ্য জানবো আজ।

আববাস বিন আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্ল­াম একবার তাঁকে জিজ্ঞেস করলেনঃ

‘‘তোমরা কি জানো, আসমান ও যমীনের মধ্যকার দূরত্ব কত?’’ আমরা বললামঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই সবচেয়ে অধিক জানেন। তিনি বললেন, ‘‘আসমান ও যমীনের মাঝে দূরত্ব হচ্ছে পাঁচশ বছরের পথ। এক আকাশ থেকে অন্য আকাশের দূরত্ব হচ্ছে পাঁচশ’ বছরের পথ। প্রত্যেক আকাশের ঘনত্বও (পুরুত্ব) পাঁচশ’ বছরের পথ। সপ্তমাকাশ ও আরশের মধ্যখানে রয়েছে একটি সাগর। যার উপরিভাগ ও তলদেশের মাঝে দূরত্ব হচ্ছে আকাশ ও যমীনের মধ্যকার দূরত্বের সমান। আল্লাহ তাআলা এর উপরে রয়েছেন। আদম সন্তানের কোন কর্মকান্ডই তাঁর অজানা নয়’’। ইমাম আবু দাউদ (রঃ) এই হাদীছ বর্ণনা করেছেন।

মহান আল্লাহর আরশ ও কুরসি সম্পর্কে ১০ তথ্য

১। আল্লাহর সৃষ্টির অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে আরশ৷ আরশ অর্থ হচ্ছে রাজত্ব, রাজ সিংহাসন,ছাদ,মাচা শক্তি,গোত্র ইত্যাদি৷
(মুজামুল ওয়াহী,লিসানুল আরব)

২। কুরআন মাজিদে আরশ শব্দটি পঁচিশ বার এসেছে৷ এ পৃথিবী থেকে সাত আসমান পার হয়ে সিদরাতুল মুনতাহা থেকে সত্তর হাজার নুরের স্তর অতিক্রম করে আল্লাহর আরশ৷

৩। এ আরশ এতই মর্যাদাবান যে আল্লাহ ইরশাদ করেন, তিনি মহান আরশের রব৷ (সুরা তওবা,১২৯)

৪। প্রিয়নবি সা বলেন, আরশ বহনকারী একজন ফেরেশতার সাথে আমাকে আলাপ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ সে ফেরেশতার কানের লতি থেকে ঘাড় পর্যন্ত যে দূরত্ব তা কোনো দ্রুতগামী ঘোড়া অতিক্রম করতে সাতশত বছর সময় লাগবে৷ (কাশফুল আসর,৩/৩৬২)

৫। আরশ বহনকারী একজন ফেরেশতা যদি এত বড় হন, তাহলে আরশ কত বড়৷ ইমাম জাফর সাদেক রহ. বলেন, আরশ প্রতিদিন সত্তর হাজার নুরের রং ধারণ করে৷

৬। কুরসি আল্লাহর সৃষ্টির এক অনন্য নিদর্শন৷ কুরসি অর্থ চেয়ার বা আসন, সিংহাসন কুরসি আল্লাহর আরশে আযিমের উপর অবস্থিত৷

৭। আল্লাহর কুরসি যে কতবড় তা তিনি নিজেই বর্ণনা দিয়েছেন- তাঁর কুরসি আকাশ ও পৃথিবীময় পরিব্যাপ্ত; এদের রক্ষণাবেক্ষণ তাঁকে ক্লান্ত করে না৷ (সুরা বাকারা,২৫৫)

৮। কুরসি শব্দটি কুরানে ২ বার এসেছে৷ উক্ত আয়াতে বোঝা যায় যে, সাত আসমান সাত যমিন কুরসিতে জায়গা হয়৷ হযরত হাসান বসরী রহ বলেন, আরশ থেকে কুরসি অনেক উপরে৷ আরশের উপরে আলো, অন্ধকার, পানি ও বরফের চারটি পর্দা রয়েছে৷ এক একটি পর্দার থেকে অপর পর্দা পাঁচশত বছরের পথ৷ কুরসির তুলনায় সাত আসমান সাত জমিন বিশাল মরুভুমিতে একটি সর্ষে দানার মত৷ আবার আরশের তুলনায় কুরসি একটি সর্ষে দানার মত৷ আরশ বহনকারী ফেরেশতা আট জন৷ আর কুরসি বহনকারী ফেরেশতা চার জন৷ (কাসফুল আসরার-৩/৬৯৪, ৮/৪৫৩)

৯। আল্লাহর আরশ, কুরসি ও লাওহে কলম সবই তাঁর কুদরতের নিশানা৷ যে বিস্ময়কর কুদরতসমূহ আমাদের প্রিয়নবি সা. মিরাজ সফরে সশরীরে জাগ্রত অবস্তায় বাস্তবেই দেখেছেন৷

১০। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া থাকবে না, (তারা হল,) ন্যায় পরায়ণ বাদশাহ (রাষ্ট্রনেতা), সেই যুবক যার যৌবন আল্লাহ তাআলার ইবাদতে অতিবাহিত হয়, সেই ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদসমূহের সাথে লটকে থাকে (মসজিদের প্রতি তার মন সদা আকৃষ্ট থাকে।)

সেই দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে বন্ধুত্ব ও ভালবাসা স্থাপন করে; যারা এই ভালবাসার উপর মিলিত হয় এবং এই ভালবাসার উপরেই চিরবিচ্ছিন্ন (তাদের মৃত্যু) হয়। সেই ব্যক্তি যাকে কোন কুলকামিনী সুন্দরী (ব্যভিচারের উদ্দেশ্যে) আহবান করে, কিন্তু সে বলে, আমি আল্লাহকে ভয় করি।’

সেই ব্যক্তি যে দান করে গোপন করে; এমনকি তার ডান হাত যা প্রদান করে, তা তার বাম হাত পর্যন্তও জানতে পারে না। আর সেই ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে; ফলে তার উভয় চোখে পানি বয়ে যায়।

(বুখারি ৬৬০, ১৪২৩, ৬৪৭৯, ৬৮০৬, মুসলিম ১০৩১, তিরমিযি ২৩৯১, নাসায়ি ৫৩৮০, আহমদ ৯৩৭৩, মুওয়াত্তা মালিক ১৭৭৭)

সুতরাং আয়াতুল কুরসীর মধ্যে যেহেতু আল্লাহ তাআলার বড়ত্ব ও মর্যাদার এতগুলো গুণ বিদ্যমান, তাই এটি কুরআনের সর্বাধিক মর্যাদাবান আয়াত হওয়ার দাবী রাখে এবং এটি তার পাঠকারীকে সকল প্রকার অকল্যাণ ও শয়তান থেকে হেফাজতকারী হিসাবে পরিগণিত হওয়ারও হকদার।

আয়াতুল কুরসী থেকে এই দলীল পাওয়া গেল, আল্লাহ তাআলা নিজেকে যেসব গুণে গুণান্বিত করেছেন এবং নিজেকে যেসব নামে নামকরণ করেছেন, সে ক্ষেত্রে তিনি আয়াতুল কুরসীতে শির্কের নেতিবাচক বক্তব্য এবং তাওহীদের ইতিবাচক বক্তব্য একত্রিত করেছেন। আয়াতুল কুরসী আল্লাহর জন্য একদিকে যেমন সুমহান, সর্বোচ্চ ও পরিপূর্ণ গুণাবলী সাব্যস্ত করেছে, অন্যদিকে তাঁর পবিত্র সত্তা হতে সকল দোষ-ত্রুটি এবং অশোভনীয় বৈশিষ্টগুলোকে দূর করে দিয়েছে।

(বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় জানতে ভিজিট করুন www.prosno.xyz | সাথেই থাকুন www.IslamBangla.Com ভিজিট করতে থাকুন)

আল্লাহর আরসের বেষ্টনকারী কারা? কোরআনে তাদের সম্পর্কে যা ইরশাদ হয়েছেঃ

এতদপ্রসঙ্গে আল-কোরআনে ইরশাদ হয়েছে: ‘আর তুমি ফিরিশতাদেরকে দেখতে পাবে যে, তারা আরশের চতুস্পার্শ্ব ঘিরে তাদের প্রতিপালকের প্রশংসা, পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছে।

আপনি ফেরেশতাগণকে দেখবেন, তারা আরশের চার পাশ ঘিরে তাদের পালনকর্তার পবিত্রতা ঘোষনা করছে। তাদের সবার মাঝে ন্যায় বিচার করা হবে। বলা হবে, সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহর। (সুরা যুমার আয়াত: ৭৫)

অপর এক আয়াতে ইরশাদ হয়েছে: ‘সেদিন মহা প্রলয় সঙ্ঘঠিত হবে এবং আকাশ বিদীর্ণ হয়ে বিশ্লিষ্ট হয়ে পড়বে। ফিরিশতাগণ আকাশের প্রান্তদেশে থাকবে

এবং সেদিন আটজন ফিরিশতা তাদের প্রতিপালকের আরশকে তাদের ঊর্ধে ধারণ করবে।

وَالْمَلَكُ عَلَى أَرْجَائِهَا وَيَحْمِلُ عَرْشَ رَبِّكَ فَوْقَهُمْ يَوْمَئِذٍ ثَمَانِيَةٌ

এবং ফেরেশতাগণ আকাশের প্রান্তদেশে থাকবে ও আট জন ফেরেশতা আপনার পালনকর্তার আরশকে তাদের উর্ধ্বে বহন করবে। (সুরা হাক্বকাহ আয়াত: ১৭)

আর এরাই হল সে সমস্ত ফিরিশতাগণ যারা মুমিন মোক্তাকী বান্দাহদের জন্য আল্লাহর নিকট মাগফেরাত কামনা করে এবং দোয়া করে। যার বিবরণ কোরআনে এভাবে রয়েছে:

اَلَّذِیۡنَ یَحۡمِلُوۡنَ الۡعَرۡشَ وَ مَنۡ حَوۡلَہٗ یُسَبِّحُوۡنَ بِحَمۡدِ رَبِّہِمۡ وَ یُؤۡمِنُوۡنَ بِہٖ

وَ یَسۡتَغۡفِرُوۡنَ لِلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ۚ رَبَّنَا وَسِعۡتَ کُلَّ شَیۡءٍ رَّحۡمَۃً وَّ عِلۡمًا

فَاغۡفِرۡ لِلَّذِیۡنَ تَابُوۡا وَ اتَّبَعُوۡا سَبِیۡلَکَ

وَ قِہِمۡ عَذَابَ الۡجَحِیۡمِ

যারা আরশকে ধারণ করে এবং যারা এর চারপাশে রয়েছে, তারা তাদের রবের প্রশংসাসহ তাসবীহ পাঠ করে এবং তাঁর প্রতি ঈমান রাখে।

আর মুমিনদের জন্য ক্ষমা চেয়ে বলে যে, ‘হে আমাদের রব, আপনি রহমত ও জ্ঞান দ্বারা সব কিছুকে পরিব্যপ্ত করে রয়েছেন।

অতএব যারা তাওবা করে এবং আপনার পথ অনুসরণ করে আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিন।

আর জাহান্নামের আযাব থেকে আপনি তাদেরকে রক্ষা করুন। (সূরা মুমিন: আয়াত: ৭)

আরশ কুরসীসহ আল্লাহর আরো কতিপয় বিশাল বিশাল সৃষ্টি সম্পর্কে সংযুক্তিঃ

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,

‘‘দুনিয়ার আকাশ এবং এর পরবর্তী আকাশের মধ্যে দূরত্ব হচ্ছে পাঁচশ’ বছরের পথ। আর এক আকাশ থেকে অন্য আকাশের দূরত্ব হচ্ছে পাঁচশ বছরের পথ। এমনি সপ্তমাকাশ এবং কুরসীর মধ্যে দূরত্ব হচ্ছে পাঁচশ বছরের পথ। কুরসী এবং পানির মাঝখানে দূরত্ব হচ্ছে পাঁচশ বছরের পথ। আরশ হচ্ছে পানির উপরে। আর আল্লাহ তাআলা আরশের উপরে। তোমাদের আমলের কোন কিছুই তাঁর কাছে গোপন নয়’’।

হাম্মাদ বিন সালামা হতে এই হাদীছ ইবনে মাহদী বর্ণনা করেন আসেম হতে, আসেম বর্ণনা করেন যির্ হতে, তিনি বর্ণনা করেন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে। অনুরূপ বর্ণনা করেন মাসউদী আসেম হতে, তিনি আবি ওয়ায়েল হতে এবং তিনি আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।

ইমাম যাহাবী (রঃ) উপরোক্ত সনদ বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ অনেক সনদে এই বর্ণনা এসেছে।

আববাস বিন আব্দুল মুত্তালিবের হাদীছটি লেখক এখানে সংক্ষিপ্ত করে উল্লেখ করেছেন। আবু দাউদের বর্ণনাটি ঠিক এ রকম, আববাস বিন আব্দুল মুত্তালিব (রাঃ) বলেন,

‘‘আমি একদা একদল সাহাবীর সাথে খোলা ময়দানে বসা ছিলাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সেখানে ছিলেন। তখন তাদের উপর দিয়ে এক খন্ড মেঘ অতিক্রম করার সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেদিকে তাকিয়ে বললেনঃ তোমরা এটিকে কী বলো? তারা বললোঃ السحاب ‘‘এটিকে আমরা মেঘ বলি’’।

তিনি তখন বললেনঃ والمزن (আলমুয্ন)। সাহাবীরা বললোঃ আমরা এটিকে মুয্নও বলি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ والعنان (আলআনান)। সাহাবীগণ বললোঃ আমরা আনানও বলি। ইমাম আবু দাউদ (রঃ) বলেনঃ আমি আনান শব্দটি ভালভাবে বুঝতে পারিনি।

অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তোমরা কি জানো আকাশ ও পৃথিবীর মাঝখানের দূরত্ব কতটুকু? সাহাবীগণ বললোঃ আমরা জানিনা।

তিনি বললেনঃ উভয়ের মধ্যে রয়েছে হয় একাত্তর বছরের, না হয় বাহাত্তর বছরের না হয় তেহাত্তর বছরের দূরত্ব। এমনি প্রত্যেক আকাশ ও তার পরবর্তী আকাশের মধ্যবর্তী দূরত্ব হচ্ছে একই রকম। এভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাতটি আসমান গণনা করলেন। সপ্তম আকাশের উপর রয়েছে একটি সাগর। সাগরের উপর হতে নীচের দূরত্ব (গভীরতা) হচ্ছে এক আসমান থেকে অন্য আসমানের মধ্যকার দূরত্বের সমান।

সাগরের উপরে রয়েছে আটটি ওয়াল (বিশাল আকারের আট ফেরেশতা)। তাদের হাঁটু থেকে পায়ের খুর পর্যন্ত দূরত্ব এক আসমান থেকে অন্য আসমানের মধ্যবর্তী দূরত্বের সমান। তাদের পিঠে রয়েছে আল্লাহর আরশ। আরশ এত বিশাল যে, তার নীচের অংশ হতে উপরের ছাদ পর্যন্ত দূরত্ব হচ্ছে এক আসমান থেকে অন্য আসমানের মধ্যবর্তী দূরত্বের সমান। আর আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আরশের উপরে’’।

وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا আর আসমান ও যমীনকে ধারণ করা তাঁর জন্য মোটেই কঠিন নয়ঃ আসমান-যমীনসহ উর্ধ্বজগৎ ও নিম্নজগতের সবকিছু সংরক্ষণ করা আল্লাহর জন্য মোটেই কঠিন ও ভারী অনুভব হয়না। কেননা তাঁর শক্তি ও ক্ষমতা সর্বোচ্চ ও চূড়ান্ত।

وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ আর তিনি সর্বোচ্চ ও মহান সত্তাঃ অর্থাৎ সকল দিক থেকেই আল্লাহ তাআলার জন্য সৃষ্টির উপরে হওয়া সুপ্রমাণিত ও সুসাব্যস্ত। আল্লাহর যাত সুউচ্চ। অর্থাৎ তিনি সকল সৃষ্টির উপরে। তিনি আরশেরও উপরে। আল্লাহর মর্যাদা ও বড়ত্ব সর্বোচ্চ। সুতরাং তাঁর জন্য রয়েছে পরিপূর্ণ সিফাতসমূহ এবং সুমহান গুণাবলী। আল্লাহ তাআলার শক্তি এবং ক্ষমতাও সর্বোচ্চ। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান, সকল সৃষ্টির পরিচালক এবং কোন কিছুই তাঁর জন্য অসম্ভব নয়।

الْعَظِيمُ (সুমহান) হচ্ছেন এমন সত্তা, যার মধ্যে বড়ত্বের সকল সিফাতই বিদ্যমান। সুতরাং নবী, ফেরেশতা এবং মুমিন বান্দাদের অন্তরে রয়েছে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ সম্মান।

অতঃপর শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়া (রঃ) বলেনঃ আয়াতুল কুরসীতে আল্লাহর বড় বড় সিফাতের আলোচনা হয়েছে বলেই যে ব্যক্তি রাতে ইহা পাঠ করবে, সারা রাত আল্লাহর পক্ষ হতে তার জন্য একজন প্রহরী নিযুক্ত থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত তাঁর নিকট শয়তান আসতেই পারবেনাঃ এই বক্তব্যের দ্বারা শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়া (রঃ) ঐ হাদীছের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন, যা ইমাম বুখারী (রঃ) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।

তাতে এই কথা রয়েছে, যখন তুমি বিছানায় আশ্রয় নিবে তথা শয্যা গ্রহণ করবে, তখন তুমি আয়াতুল কুরসী তথা ….اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ পাঠ করো। কেননা তুমি যদি উহা পাঠ করো, তাহলে সারা রাত আল্লাহর পক্ষ হতে তোমার জন্য একজন প্রহরী নিযুক্ত থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত তোমার নিকট শয়তান আসতেই পারবেনা।

জিন ও ইনসানের মধ্য হতে প্রত্যেক বিদ্রোহী ও সীমালংঘনকারীকে শয়তান বলা হয়। شطن থেকে شيطان এর উৎপত্তি হয়েছে। شطَن অর্থ بعُد (দূর হয়েছে)। শয়তান আল্লাহর রহমত থেকে অনেক দূরে চলে গেছে বলেই তাকে শয়তান বলা হয়। অথবা شيطان এর উৎপত্তি হয়েছে شاط يشيط হতে। যখন কোনো জিনিষ খুব কঠিন ও শক্ত হয়, তখনই কেবল তাকে উদ্দেশ্য করে এ রকম কথা বলা হয়।

মহান আল্লাহ তাআলার পথে জীবন চালিয়ে জান্নাতে জাওয়ার তওফিক দান করুন (আমিন)৷

অনুবাদকঃ মাওলানা মুহাম্মদ খুরশিদুল ইসলাম | Source: Online

The post মহান আল্লাহর আরশ ও কুরসি সম্পর্কে ১০ তথ্য, আরশের ফেরেশতা, সৃষ্টির বিশালতা appeared first on IslamBangla.Com.

]]>
ঈমানের বিষয়সমূহ, ইসলামের স্তম্ভ | Iman and Pillars of Islam https://islambangla.com/iman-and-pillars-of-islam/ Wed, 24 Nov 2021 07:04:32 +0000 https://islambangla.com/?p=2022 ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন,

The post ঈমানের বিষয়সমূহ, ইসলামের স্তম্ভ | Iman and Pillars of Islam appeared first on IslamBangla.Com.

]]>
ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন, ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটি।’ আর আল্লাহর জন্য ভালবাসা ও আল্লাহর জন্য ঘৃণা করা ঈমান (Iman) এর অংশ।

১. আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রসূল-এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা।
২. সলাত ক্বায়িম করা।
৩. যাকাত আদায় করা।
৪. হাজ্জ সম্পাদন করা এবং
৫. রমযানের সিয়ামব্রত পালন করা (রোজা রাখা)।

(৪৫১৪; মুসলিম ১/৫ হাঃ ১৬, আহমাদ ৬০২২, ৬৩০৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৭)

আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “কোন পুণ্য নেই পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে তোমাদের মুখ ফেরানোতে ; কিন্তু পুণ্য আছে কেউ ঈমান আনলে আল্লাহর উপর, আখিরাতের উপর, ফেরেশতাদের উপর, সকল কিতাবের উপর, আর সকল নবী-রসূলদের উপর, এবং অর্থ দান করলে আল্লাহর মহব্বতে আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতিম, মিসকিন, মুসাফির, সাহায্যপ্রার্থী এবং দাস মুক্তির জন্য, সালাত কায়িম করলে, যাকাত দিলে, কৃত প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করলে আর অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধ বিভ্রাটে ধৈর্যধারণ করলে। এরাই হল প্রকৃত সত্যপরায়ণ, আর এরাই মুত্তাকী”- (আল-বাক্বারাহ ২/১৭৭)। “অবশ্যই সফলতা লাভ করেছে মুমিনগণ”-(সূরা মুমিনূন ২৩/১)।

আর আল্লাহর জন্য ভালবাসা ও আল্লাহর জন্য ঘৃণা করা ঈমানের অংশ। ‘উমার ইব্‌নু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) ‘আদী ইব্‌নু ‘আদী (রহঃ)-এর নিকট এক পত্রে লিখেছিলেন, ‘ঈমানের কতকগুলো ফর্‌য, কতকগুলো হুকুম-আহকাম, বিধি-নিষেধ এবং সুন্নাত রয়েছে। যে এগুলো পূর্ণভাবে আদায় করে, তার ঈমান পূর্ণ হয়। আর যে এগুলো পূর্ণভাবে আদায় করে না, তার ঈমান পূর্ণ হয় না। আমি যদি বেঁচে থাকি তবে অচিরেই এগুলো তোমাদের নিকট ব্যক্ত করব, যাতে তোমরা তার উপর ‘আমল করতে পার। আর যদি আমার মৃত্যু হয় তাহলে জেনে রাখ, তোমাদের সাহচর্যে থাকার জন্য আমি আকাঙ্ক্ষিত নই’।

ইবরাহীম (‘আঃ) বলেন, ‘তবে এ তো কেবল চিত্ত প্রশান্তির জন্য’- (সূরা আল-বাক্বারাহ ২/২৬), মু’আয (রাঃ) বলেন, “এসো আমাদের সঙ্গে বস, কিছুক্ষণ ঈমানের আলোচনা করি”; ইব্‌নু মাস’উদ (রাঃ) বলেন, ‘ইয়াকীন হল পূর্ণ ঈমান’, ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) বলেন, ‘বান্দা প্রকৃত তাকওয়ায় পৌছতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে, মনে যে বিষয়ের সন্দেহের সৃষ্টি করে, তা পরিত্যাগ না করে’; মুজাহিদ (রহঃ) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, “অর্থাৎ হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! আমি আপনাকে এবং নূহকে একই ধর্মের আদেশ করেছি”- (সূরা শূরা ৪২/১৩), ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, “অর্থাৎ পথ ও পন্থা”- (সূরা আল-মায়িদাহ ৫/৪৮)।

বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় জানতে ভিজিট করুন www.prosno.xyz | সাথেই থাকুন www.IslamBangla.Com ভিজিট করতে থাকুন ।

আল-কোরআনের সূরা বাকারা দুই হতে চার আয়াতে ঈমান সম্পর্কে নিন্ম বিষয় গুলি উল্লেখ করা হয়েছেঃ

  • এক. একক ইলাহ হিসেবে আল্লাহকে বিশ্বাস করা।
  • দুই. আল্লাহর ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস করা।
  • তিন. সমস্ত আসমানী কিতাব সমূহতে বিশ্বাস।
  • চার. সকল নবী ও রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাস।
  • পাঁচ.তাক্বদীর বা ভালো মন্দের ওপর আল্লাহর ক্ষমতা রয়েছে বলে বিশ্বাস করা।
  • ছয়. আখিরাত বা পরকালের প্রতি বিশ্বাস।
  • সাত. মৃত্যুর পর পুনঃজীবিত হওয়ার প্রতি বিশ্বাস।
  • আল-কোরআনের সূরা-বাকারা এর দুই হতে চার আয়াতে ঈমান সম্পর্কে এই বিষয় গুলি উল্লেখ করা হয়েছে।

আল্লাহ আমাদের সঠিক ভাবে আমলের তৌফিক দান করুক। আমিন

The post ঈমানের বিষয়সমূহ, ইসলামের স্তম্ভ | Iman and Pillars of Islam appeared first on IslamBangla.Com.

]]>
আল্লাহ যা করেন বান্দার ভালোর জন্যই | দুঃখ নয়, সবই ভাগ্যানুসারে ঘটবে https://islambangla.com/sadness-and-islam/ Wed, 17 Nov 2021 13:16:43 +0000 https://islambangla.com/?p=1981 দুঃখ নয়, তকদীর অনুপাতে ও যা সিদ্ধান্ত করা হয়েছে সে অনুসারেই সব কিছু ঘটে। হযরত

The post আল্লাহ যা করেন বান্দার ভালোর জন্যই | দুঃখ নয়, সবই ভাগ্যানুসারে ঘটবে appeared first on IslamBangla.Com.

]]>
sadness fateদুঃখ নয়, তকদীর অনুপাতে ও যা সিদ্ধান্ত করা হয়েছে সে অনুসারেই সব কিছু ঘটে। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মত মুসলিমদের ইসলাম ধর্ম-বিশ্বাস এমনই। আল্লাহর ইলমের বাইরে, তার অনুমতি ছাড়া এবং ঐশী পরিকল্পনা ছাড়া এ বিশ্ব জগতে কোন কিছুই ঘটে না।

আবু আবদুর রহমান আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, যিনি সত্যায়নকৃত সত্যবাদী ছিলেন, তিনি আমাদের বলেছেন, ‘নিশ্চয় তোমাদের প্রত্যেক মানুষের সৃষ্টি তার মায়ের পেটে চল্লিশ দিন শুক্ররূপে জমা হওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়, অতপঃর চল্লিশ দিন জমাট বাঁধা রক্তপিণ্ডে পরিণত হয়, তারপর চল্লিশ দিন মাংসপিণ্ডে পরিণত হয়। অতঃপর তার কাছে ফেরেশতা প্রেরিত হয়। তিনি (ফেরেশতা) তার ভেতর রুহ ফুঁকে দেন। তাঁকে চারটি বিষয় লিখে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, জীবিকা, বয়স, আমল ও তার সৌভাগ্য-দুর্ভাগ্য।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩২০৮)

“পৃথিবীতে এবং তােমাদের মাঝে যে বিপর্যয় আসে তা আমি ঘটানাের পূর্বেই কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে, নিশ্চয় সে কাজ আল্লাহর পক্ষে সহজ।” [৫৭-সূরা আল হাদীদ : আয়াত-২২]

“নিশ্চয় আমি প্রতিটি জিনিসকেই তার পূর্বনির্ধারণী অনুসারেই সৃষ্টি করি।” [৫৪-সূরা আল ক্বামার : আয়াত-৪৯] অবশ্যই দুঃখের সাথে সুখ আছে।” (৯৪-সূরা আল ইনশিরাহ: আয়াত ৬)

তাকদিরের চার স্তর

ভাগ্যে বিশ্বাসের মোট চারটি স্তর রয়েছে। যথা—

এক. জ্ঞান তথা এই বিশ্বাস করা যে, আল্লাহ সর্ববিষয়ে জ্ঞাত। কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ মহাজ্ঞানী ও প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১১)

দুই. ভাগ্যলিখন তথা এই বিশ্বাস স্থাপন করা যে, আল্লাহ তাআলা লাওহে মাহফুজে সব কিছুর ভাগ্য লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় তা কিতাবে রয়েছে, নিশ্চয় তা আল্লাহর কাছে খুবই সহজ।’ (সুরা হজ, আয়াত : ৭০)

তিন. ইচ্ছা অর্থাৎ আসমান ও জমিনে আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত কিছুই হয় না। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আমি সব কিছু তার পরিমাপে সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা কামার, আয়াত : ৪৯)

চার. সৃষ্টি। তাহলো আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর সৃষ্টি। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেছেন।’ (সুরা ফোরকান, আয়াত : ২)

আহার করার পর পুনরায় ক্ষুধা লাগে, পান করার পর পুনরায় পিপাসা জাগে। অস্থিরতার পর ঘুম আসে। অসুস্থতার পর সুস্থতা আসে, পথ হারার পর পথ খুঁজে পাবে আর রাতের পর দিন আসবে এটাই নিয়ম।

বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় জানতে ভিজিট করুন www.prosno.xyz | সাথেই থাকুন www.IslamBangla.Com ভিজিট করতে থাকুন ।

“এবং অবশ্যই আমি তােমাদেরকে ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফসলের ক্ষতি ইত্যাদি কতিপয় জিনিস দ্বারা পরীক্ষা করব এবং (হে নবী মুহাম্মাদ!) আপনি ধৈর্যশীলদেরকে (জান্নাতের) সুসংবাদ দিন।” [২-সূরা বাক্বারা : আয়াত-১৫৫]

একটি হাদীসে নবী করীম (সাঃ) বলেছেন: “মুমিনের কাজ বড়ই আশ্চর্যজনক! নিশ্চয় তাঁর সব কাজই তার জন্য কল্যাণকর। যখন তার কোন কল্যাণ হয় তখন শুকরিয়া আদায় করে, ফলে তা তার আরাে কল্যাণকর হয়ে যায়। আর যখন তার কোন ক্ষতি হয় তখন সে ধৈর্য ধারণ করে, ফলে সে ক্ষতিও তার জন্য কল্যাণকর হয়ে যায়। আর এমনটি মুমিন ছাড়া অন্য কারাে জন্যই হয় না।”

একটি বিশুদ্ধ হাদীসে নবী করীম (সাঃ) বলেছেন: “যখন তুমি কোন কিছু চাইবে, তখন তুমি তা আল্লাহর নিকটে চাও, আর যখন তুমি সাহায্য চাইবে তখন তুমি আল্লাহর নিকটই সাহায্য চাও। আর জেনে রাখ যে, সব মানুষও যদি কোন বিষয়ে তােমার উপকার করার জন্য একত্রিত হয় তবুও তারা তা করতে পারবে না।

তবে আল্লাহ তােমার ভাগ্যলিপিতে যেটুকু লিখে রেখেছেন ততটুকু উপকার করতে পারবে। আর যদি তারা তােমার ক্ষতি করার জন্যও একত্রিত হয় তবুও তারা তা করতে পারবে না, তবে তােমার ভাগ্যলিপিতে আল্লাহ যেটুকু লিখে রেখেছেন-সেটুকু ক্ষতি তারা করতে পারবে। কলম উঠিয়ে রাখা হয়েছে এবং (কালিতে লিখিত) পৃষ্ঠাসমূহ শুকিয়ে গেছে।”

নবী করীম (সাঃ) (তার উপর করুণা ও শান্তি বর্ষিত হােক) আরাে বলেছেন: “এবং জেনে রাখ যে, যা তােমার নিকট এসেছে তা তােমার নিকট না আসার ছিল না এবং যা তােমার নিকট আসেনি তা তােমার নিকট আসার ছিল না।”

অন্য একটি নির্ভরযােগ্য হাদীসে নবী করীম (সাঃ) বলেছেন: “যা তােমার উপকার করবে তার জন্য চেষ্টা কর, আল্লাহর নিকট সাহায্য চাও, দুর্বল হয়াে না ও এ কথা বলাে না যে, আমি অমুক অমুক কাজ করলে অবস্থা এমন এমন হতাে। বরং একথা বল যে, আল্লাহ সিদ্ধান্ত করে ফেলেছেন এবং তিনি যা চান তা তিনি করেন।”

আরাে একখানি নির্ভরযােগ্য হাদীসে নবী করীম (সাঃ) বলেছেন: “বান্দার জন্য আল্লাহ যে ফয়সালা করেন তা তার জন্য কল্যাণকর।”মহান আল্লাহ বলেন: “এবং এমনও হতে পারে যে, তােমরা যা অপছন্দ কর তা তােমাদের জন্য কল্যাণকর আর এমনও হতে পারে যে, তােমরা যা পছন্দ কর তা তােমাদের জন্য ক্ষতিকর এবং আল্লাহ জানেন আর তােমরা জান না।” [২-সূরা বাক্বারা : আয়াত-২১৬]

শাইখুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমিয়াকে পাপ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলাে, এটা কি কারাে জন্য উপকারী? তিনি বললেন! “হ্যা, তবে এ শর্তে যে, পাপের পর লজ্জিত, অনুতপ্ত, ক্ষমা প্রার্থনাকারী ও মানসিকভাবে চরম অনুতপ্ত হতে হবে।”

সুত্রঃ অনলাইন

The post আল্লাহ যা করেন বান্দার ভালোর জন্যই | দুঃখ নয়, সবই ভাগ্যানুসারে ঘটবে appeared first on IslamBangla.Com.

]]>
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী(দঃ) করা ইবাদত? | Eid A Miladunnabi https://islambangla.com/eid-a-miladunnabi-ibadat/ Mon, 11 Oct 2021 12:05:43 +0000 https://islambangla.com/?p=1975 ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ)তার স্বপক্ষে দলিল : ১৷ সুরা আলে ইমরানের ১০৩ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা

The post পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী(দঃ) করা ইবাদত? | Eid A Miladunnabi appeared first on IslamBangla.Com.

]]>
Eid-e-Miladunnobiঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ)তার স্বপক্ষে দলিল : ১৷ সুরা আলে ইমরানের ১০৩ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, ﺍﺫﻛﺮﻭﺍ ﻧﻌﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻜﻢ ” অর্থাৎ তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহকে স্মরণ কর; ২৷ আল্লাহ পাক সুরা ইউনুসের ৫৮ নং আয়াতে এরশাদ করেন, ” ﻗﻝ ﺑﻔﻀﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻭ ﺑﺮﺣﻤﺘﻪ ﻓﺒﺬﺍﻟﻚ ﻓﻠﻴﻔﺮﺣﻮﺍ ﻫﻮ ﺧﻴﺮﻣﻤﺎ ﻳﺠﻤﻌﻮﻥ অর্থাৎ(হে নবী) আপনি বলে দিন‘এ হল তাঁরই অনুগ্রহ ও করুণায়; সুতরাং এ নিয়েই তাদের আনন্দিত হওয়া উচিত এটা তারা যা (পার্থিব সম্পদ) সঞ্চয় করছে তা হতে অধিক উত্তম। ” ﻋَﻦْ ﺍَﺑِﻰ ﻗَﺘَﺪَﺓَ ﺍﻻَﻧْﺼﺎَﺭِﻯ ﺭَﺿِﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻨﻪُ ﺍَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺳﺌﻞ ﻋَﻦْ ﺻَﻮْﻡِ ﻳَﻮْﻡ ﺍﻻِﺛْﻨَﻴْﻦِ ﻗَﺍﻞَ ﺫَﺍﻙَ ﻳَﻮْﻡٌ ﻭُﻟِﺪْﺕُ ﻓِﻴْﻪِ ﺑُﻌِﺜْﺖُ ﺍَﻭْﺍُﻧْﺰِﻝَ ﻋَﻠَﻰَّ ﻓِﻴْﻪِ – অর্থাৎ হজরত আবু কাতাদা ( রা ) থেকে বর্নিত, নবীজি সাঃ কে সোমবারের রোজা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তিনি বলেন , এই দিনে আমার জন্ম হয়েছে , এই দিনে আমি প্রেরিত হয়েছি এবং পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ এই দিনেই আমার উপর নাজিল হয়েছে ৷

হাদিস শরীফে আরো এরশাদ হয়েছে ” ﻋَﻦْ ﺍِﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭَﺿِﻰَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﺍَﻧَّﻪٗﻛَﺎﻥَ ﻳُﺤَﺪِّﺙُ ﺫَﺍﺕَ ﻳَﻮْﻡٍ ﻓِﻰْ ﺑَﻴْﺘِﻪٖ ﻭَﻗَﺎﺋِﻊَﻭِﻻﺩَﺗِﻪٖ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻟِﻘَﻮْﻡٍ ، ﻓَﻴَﺴْﺘَﺒْﺸِﺮُﻭَﻥْ ﻭَﻳُﺤَﻤِّﺪُﻭْﻥَ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَﻳُﺼَﻠُّﻮْﻥَﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻓَﺎِﺫَﺍ ﺟَﺎﺀَﺍﻟﻨَّﺒِﻰُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ ﺣَﻠَّﺖْﻟَﻜُﻢْ ﺷَﻔَﺎﻋَﺘِﻰْ অর্থাৎ হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস ( রা ) নিজেই বর্ণনা করেন , একদা তিনি উনার গৃহে সাহাবাদের নিয়ে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মের ইতিহাস আলোচনা করতেছিলেন৷ সাহাবাগন শুনে আনন্দিত হয়ে আল্লাহর প্রশংসা করছেন, নবীজির উপর দরুদ পাঠ করছেন৷ অতপর যখন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে উপস্থিত হলেন, বললেন , তোমাদের জন্য আমার শাফায়াত হালাল হয়ে গেছে ৷

মতপার্থক্যঃ

যে সকল কর্ম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে, সাহাবী, তাবেয়ী ও তাবে তাবেয়ীদের যুগে ধর্মীয় কর্ম, আচার বা উৎসব হিসাবে প্রচলিত, পরিচিত বা আচরিত ছিল না, পরবর্তী যুগে মুসলিম সমাজে ধর্মীয় কর্ম হিসাবে প্রচলিত হয়েছে সে সকল কর্মের বিষয়ে সর্বদায় মুসলিম উম্মাহর আলেম ও পণ্ডিতগণ দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েন। অনেক আলেম ধর্মীয় কর্ম ও ধার্মিকতার ক্ষেত্রে প্রথম যুগের মুসলমানদেরকে চূড়ান্ত ও পূর্ণাঙ্গ আদর্শ মনে করেন। তাঁরা ইসলামী সমাজের ধর্মকর্ম ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানাদি অবিকল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ও তাঁর সাহাবীদের যুগের মত রাখতে চান।

যে কর্ম প্রথম যুগের ধার্মিক মানুষেরা আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য করেন নি, এদের মতে  সেকাজ কখনো পরবর্তী যুগের মুসলিমদের জন্য আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম হতে পারে না। অপর দিকে অন্যশ্রেণীর আলেমগণ কেবলমাত্র প্রথম যুগে ছিল না বলেই কোন কর্ম বা অনুষ্ঠানকে নিষিদ্ধ বলে মনে করেন না। বরং নতুন প্রচলন বা প্রচলিত কর্ম বা অনুষ্ঠানের পক্ষে যুক্তি প্রমানাদি সন্ধান করেন এবং সম্ভব হলে সমাজের প্রচলনকে মেনে নেন।

যেহেতু মিশরের শাসকগণ ও পরবর্তীকালে হযরত আবু সাঈদ কূকবুরী প্রবর্তিত ঈদে মীলাদুন্নবী জাতীয় কোন অনুষ্ঠান রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে, সাহাবী, তাবেয়ী ও তাবে তাবেয়ীদের যুগে প্রচলিত বা পরিচিত ছিল না তাই স্বভাবত:ই এ বিষয়েও আলেমদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। কোন কোন আলেম ৭ম শতাব্দী থেকেই ঈদে মীলাদুন্নবী উদযাপনের বিরোধিতা করেছেন এই যুক্তিতে যে, সাহাবীগণ, তাবেয়ীগণ তাঁদের প্রচণ্ডতম নবীপ্রেম সত্ত্বেও কখনো তাঁদের আনন্দ এভাবে উৎসব বা উদযাপনের মাধ্যমে প্রকাশ করেন নি, কাজেই পরবর্তী যুগের মুসলমানদের জন্যও তা শরীয়ত সঙ্গত হবে না।

বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় জানতে ভিজিট করুন www.prosno.xyz | সাথেই থাকুন www.IslamBangla.Com ভিজিট করতে থাকুন ।

পরবর্তী যুগের মুসলমানদের উচিৎ প্রথম যুগের মুসলমানদের ন্যায় সার্বক্ষণিক সুন্নাত পালন, সীরাত আলোচনা, দরুদ সালাম ও হার্দিক ভালবাসার মাধ্যমে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধার অঘ্য জানান, অমুসলিমদের অনুকরণে জন্মদিন পালনের মাধ্যমে নয়। তাঁদের যুক্তি হলো এ সকল অনুষ্ঠানের প্রসার সাহাবীদের ভালবাসা, ভক্তি ও আনন্দ প্রকাশের পদ্ধতিকে হেয় প্রতিপন্ন করার মানসিকতা সৃষ্টি করবে, কারণ যারা এ সকল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভালবাসা ও আনন্দ প্রকাশ করবেন, তাঁদের মনে হতে থাকবে যে সাহাবীদের মত নীরব, অনানুষ্ঠানিক, সার্বক্ষণিক ভালবাসা ও ভক্তি প্রকাশ পদ্ধতির চেয়ে তাদের পদ্ধতিটাই উত্তম।

এ সকল নিষেধকারীদের মধ্যে রয়েছেন সপ্তম-অষ্টম হিজরী শতাব্দীর অন্যতম আলেম ইমাম আল্লামা তাজুদ্দীন উমর বিন আলী  আল-ফাকেহানী (মৃত্যু: ৭৩৪ হিজরী/ ১৩৩৪খ্রী:), আল্লামা আবু আব্দুল্লাহ মুহম্মদ বিন মুহম্মদ ইবনুল হাজ্জ (৭৩৭হি:/১৩৩৬খ্রী:), ৮ম হিজরী শতকের প্রখ্যাত আলেম আবু ইসহাক ইব্রাহীম বিন মূসা বিন মুহাম্মাদ আশ-শাতিবী (মৃত্যু ৭৯০ হি:) ও অন্যান্য উলামায়ে কেরাম।

অপর দিকে  অনেক আলেম প্রতি বৎসর রবিউল আউয়াল মাসে ঈদে মীলাদুন্নবী বা নবীজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের) জন্মদিনের ঈদ পালনকে জায়েয বলেছেন, এই যুক্তিতে যে, এই উপলক্ষে যে সকল কর্ম করা হয় তা যদি শরীয়ত সঙ্গত ও ভাল কাজ হয় তাহলে তা নিষিদ্ধ হতে পারে না। কাজেই কুরআন তিলাওয়া, ওয়াজ নসিহত, দান-খয়রাত, খানাপিনা, উপহার উপঢৌাকন বিতরণ ও  নির্দোষ আনন্দের মাধ্যমে বাৎসরিক ঈদে মীলাদুন্নবী উদযাপন করলে তা এদের মতে নাজায়েয বা শরীয়ত বিরোধী হবে না। বরং এসকল কাজ কেউ করলে তিনি তাঁর নিয়েত, ভক্তি ও ভালবাসা অনুসারে সাওয়াব পাবেন।

এ সকল আলেমদের মধ্যে রয়েছেন: সপ্তম হিজরী শতকের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিক আল্লামা আব্দুর রহমান বিন ইসমাঈল আল-মাকদিসী আল-দিমাশকী হাফিজ আবু শামা (৬৬৫হি:), ৯ম হিজরী শতকের প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ও মুহাদ্দিস আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী (৮৫২হি:), আবুল খাইর মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান বিন মুহাম্মাদ, শামসুদ্দীন সাখাবী (৯০২হি:/১৪৯৭খ্রী:), নবম ও দশম হিজরী শতাব্দীর প্রখ্যাত আলেম আল্লামা জালালুদ্দীন বিন আব্দুর রহমান আস-সুয়ূতী (মৃ: ৯১১হি:) ও অন্যান্য উলামায়ে কেরাম।

The post পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী(দঃ) করা ইবাদত? | Eid A Miladunnabi appeared first on IslamBangla.Com.

]]>
হজের পর হাজীদের করণীয় ও আমল (Things to do after Hajj) https://islambangla.com/things_doa_to_do_after_hajj/ Sun, 22 Aug 2021 09:09:16 +0000 https://islambangla.com/?p=1818 হজ ইসলামের পাঁচটি মূল ভিত্তির অন্যতম। কোরআন শরিফে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন: ‘আল্লাহর তরফ থেকে

The post হজের পর হাজীদের করণীয় ও আমল (Things to do after Hajj) appeared first on IslamBangla.Com.

]]>
Hajjহজ ইসলামের পাঁচটি মূল ভিত্তির অন্যতম। কোরআন শরিফে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন: ‘আল্লাহর তরফ থেকে সেসব মানুষের জন্য হজ ফরজ করে দেওয়া হয়েছে, যারা তা আদায়ের সামর্থ্য রাখেন।’ (সুরা আলে ইমরান; আয়াত: ৯৭)। পবিত্র হজ আল্লাহ তাআলার একটি বিশেষ বিধান।

হজের পর হাজীদের করণীয় ও হজ্জ পরবর্তী আমল (Things to do after Hajj)

হজ থেকে ফিরে এসে নিকটস্থ মসজিদে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নাত। হজরত কাব বিন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন কোনো সফর থেকে ফিরে আসতেন, তখন মসজিদে (নফল) নামাজ আদায় করতেন।’ (বুখারি শরিফ) হজ থেকে ফিরে শুকরিয়াস্বরূপ গরিব-মিসকিন ও আত্মীয়স্বজনকে খাবারের দাওয়াত দেওয়া বৈধ। ইসলামী ফিকহের পরিভাষায় সে খাবারকে ‘নকিয়াহ’ বলা হয়।

হজরত জাবের বিন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.) যখন মদিনায় এসেছেন, তখন একটি গরু জবাইয়ের নির্দেশ দেন। জবাইয়ের পর সাহাবিরা তা থেকে আহার করেছেন।’ (বুখারি) তবে অহংকার, লোকদেখানো ও বিশেষ উদ্দেশ্য সামনে রেখে এমন দাওয়াতের ব্যবস্থা করা ইসলাম অনুমোদন করে না। (ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া ৭/১৮৫)

ইসলামের যেকোনো ইবাদত আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাঁর হুকুম পালন করার জন্য হয়ে থাকে। ‘নামাজি সাহেব’ হওয়ার জন্য যেভাবে নামাজ পড়া হয় না, তেমনি ‘হাজি সাহেব’ হওয়ার জন্য হজ পালন করা অবৈধ। হ্যাঁ, মানুষ যদি এমনিতেই সম্মান করে ‘হাজি সাহেব’ বলে ডাকে, তাতে অসুবিধা নেই। কিন্তু নিজের নামের সঙ্গে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ‘হাজি’ বা ‘আলহাজ’ ব্যবহার করা কিংবা কেউ এ বিশেষণটি বর্জন করায় মনঃক্ষুণ্ন হওয়া গর্হিত কাজ। (মুকাম্মাল মুদাল্লাল মাসায়েলে হজ ও ওমরাহ : ৩২১)

কতিপয় আমল কবূলের কারণ ও উপায়

১। স্বীয় আমলকে বড় মনে না করা ও তার ওপর গর্ব না করা

২। আমলটি কবূল হবে কিনা, এ মর্মে শঙ্কিত থাকা

৩। আমল কবূলের আশা পোষণ ও দো‘আ করা

৪। বেশি বেশি ইস্তেগফার-ক্ষমা প্রার্থনা

৫। বেশি বেশি সৎ আমল করা

৬। সৎ আমলের স্থায়ীত্ব ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখা

হজের পর করণীয়

বিদায় তাওয়াফ শেষে যেন দুনিয়ায় নবাগত শিশু, ক্ষমাপ্রাপ্ত, প্রশংসনীয় চেষ্টা, গৃহীত আমল ও মাবরুর-গৃহীত হজ (যার প্রতিদান জান্নাত) সমাপ্ত করে ফিরে ধন্য হলো আদম সন্তান। প্রত্যেকেই চায় হজ আদায়ের জন্য মক্কা যাবে, আল্লাহ তায়ালা কে এর দ্বারা রাজী-খুশী করবে ও ইসলামের পাঁচটি রুকনের পঞ্চম রুকন বাস্তবায়ন করে ধন্য হবে। এমর্মে হাজী সাহেবগণ কষ্টের পর কষ্ট সহ্য করেন। যাবতীয় কষ্ট অতিক্রম করে কুপ্রবৃত্তির উপর বিজয় লাভ করে তাকওয়ার লেবাস অর্জন করেন।

সুতরাং এ হজ আদায় শেষে নব জন্মের বেশে গুনাহ-খাতা মুক্ত দেশে ফিরে যাবে। তারপর কি পুনরায় পূর্বের ন্যায় পাপাচারে প্রত্যাবর্তন বিবেক সম্মত হবে? অতএব কিভাবে সে তার নব ভুমিষ্ট সাদৃশ মা’সুমতাকে সংরক্ষণ করবে? ও কিভাবে তাকওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত এবং সঠিক আমলে অবিচল ও অটল থাকবে? তার জন্যই নিম্নের বিষয়গুলো সবিনয়ে নিবেদন:

প্রথমঃ এ বছর আল্লাহ আমাদের মধ্যে যাকে হজ আদায়ের তাওফীক প্রদান করে ধন্য করেছেন, তাঁর উচিত মাওলার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও প্রশংসা করা। কেননা তিনিই তাকে এ মহান ইবাদত সম্পাদন করার সুযোগ ও শক্তি দান করেছেন। যেমন: আল্লাহ তায়ালা বলেন: “যখন তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেনঃ তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দিবো, আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর।” [সূরা ইবরাহীম: ৭]

দ্বিতীয়ঃ যেভাবে হজ সফরে বেশি বেশি দু’আ-যিকির, ইস্তেগফার-ক্ষমাপ্রার্থনা ও নিজের অপারগতা তুলে ধরে কাকুতি-মিনতি পেশ করেছি, পরবর্তীতেও তার ধারাবাহিতকতা বজায় রাখব।

তৃতীয়ঃ আমরা হজ সফরে নিশ্চিত ছিলাম যে, এটি কোন সাধারণ ও বিনোদনমূলক সফর ছিল না; বরং তা ছিল শিক্ষা-দীক্ষার প্রশিক্ষণ কোর্সও একটি ঈমানী সফর। যাতে আমরা চেষ্টা করেছি যাবতীয় গুনাহ-খাতা হতে মুক্তি পাওয়ার, স্বীয়কৃত অন্যায়-অত্যাচার হতে মুক্ত হওয়ার। হজ মাবরুর পেয়ে মা’সুম প্রত্যাবর্তন করার। আল্লাহ বলেন: “নিশ্চয় আল্লাহ কোন সমপ্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থা নিজেরা পরিবর্তন করে।” [সূরা রা’দ: ১১]

চতুর্থঃ হজ সফরে আমরা ঈমানের মজা এবং সৎকর্মের স্বাদ অনুভব করেছি, আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের গুরুত্বও জেনেছি, হেদায়েতের পথে চলেছি। সুতরাং এ সবের পর আমরা কি তা পরবর্তী জীবনে জারী রাখব না? ও ভ্রষ্টতা থেকে বেঁচে থাকব না? আল্লাহ তায়ালা বলেন: “নিশ্চয়ই যারা বলেঃ আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, অতঃপর অবিচলিত থাকে, তাদের নিকট অবতীর্ণ হয় ফেরেশ্‌তা এবং বলেঃ তোমরা ভীত হয়ো না, চিন্তিত হয়ো না এবং তোমাদেরকে যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তার সুসংবাদ পেয়ে আনন্দিত হও।” [সূরা ফুসসিলাত: ৩০]

আল্লাহ তায়ালা অন্যত্র বলেন: “অতএব, তুমি যেভাবে আদিষ্ট হয়েছো, দৃঢ় থাকো এবং সেই লোকেরাও যারা (কুফরী হতে) তাওবা করে তোমার সাথে রয়েছে, সীমালঙ্ঘন কর না; নিশ্চয় তিনি তোমাদের কার্যকলাপ সম্যকভাবে প্রত্যক্ষ করেন।” [সূরা হুদ: ১১২]

বিভিন্ন ইসলামিক বিষয় পড়তে ভিজিট করুন www.IslamBangla.Com । সাথেই থাকুন Prosno.XyZ ভিজিট করতে থাকুন ।

পঞ্চমঃ হালাল অর্থে আমরা হজের সুযোগ গ্রহণ করেছি, পোশাক, পানাহার পবিত্র ও হালাল গ্রহণ করেছি এবং হালালের যে বরকত তাও উপলব্ধি করেছি। অতএব অবশিষ্ট জীবনে তা কি ধরে রাখব না?

ষষ্ঠঃ সেই ঈমানী সফর থেকে আমরা বের হয়েছি যাতে আমরা মৃত্যু ও তার যন্ত্রণা, কবর ও তার আযাব এবং কিয়ামত ও তার ভয়াবহতা খুব করে স্মরণ করেছি বিশেষ করে কাফন সাদৃশ ইহরামের গোসল ও বস্ত্র পরিধানের সময়। এগুলো কি আমরা সর্বদা স্মরণ রাখব না? যে বিষয়গুলি আমাদেরকে হকের পথে, হেদায়াতের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবে এবং মৃত্যু পর্যন্ত সৎকর্মে অবিচল ও হারাম থেকে বেঁচে থাকার প্রতি উৎসাহ দিবে।

সপ্তমঃ হজ সফরে আমরা স্মরণ করেছি নবীদের, অনুসরণ করেছি আমাদের পিতা ইবরাহীম খলীলের। যিনি তাওহীদের পতাকাকে সমুন্নত করেন, ইখলাসের শিক্ষা দেন। অতএব আমরা হজে আল্লাহর জন্য ইখলাসকে আঁকড়ে ধরি এবং আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সুন্নাত ও তরীকাকে অনুসরণ করি যেন আমাদের আমলগুলি গ্রহণযোগ্য হয়। অবশিষ্ট জীবন কি এমর্মে অতিবাহিত করা উচিত হবে না।

অষ্টমঃ হজের পূর্বে আমরা তাওবায় সচেষ্ট হই এবং অন্যের প্রতি যুলুম-অন্যায় ও অবিচার হয়ে থাকলে তা হতে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছি। মূলতঃ এ নীতি অবলম্বন তো সব সময়ের জন্যই।

নবমঃ হজের পূর্বে আমরা তাকওয়া-আল্লাহভীতি যথাযথ অবলম্বন করেছি। আমাদের অন্তরকে পাপাচার, গুনাহ ও অশ্লীলতা হতে দূরে রেখেছি। অনার্থক ঝগড়-বিবাদ পরিত্যাগ করেছি, যা আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে নির্দেশও করেন: “কেউ যদি ঐ মাসগুলোর মধ্যে হজ্জের সংকল্প করে, তবে সে হজ্জের মধ্যে সহবাস, দুষ্কার্য ও কলহ করতে পারবে না এবং তোমরা যে কোন সৎকর্ম কর না কেন, আল্লাহ তা পরিজ্ঞাত আছেন; আর তোমরা (নিজেদের) পাথেয় সঞ্চয় করে নাও; বস্তুতঃ নিশ্চিত উৎকৃষ্টতম পাথেয় হচ্ছে আল্লাহভীতি এবং হে জ্ঞানবানগণ! তোমরা আমাকে ভয় কর।” [সূরাঃ বাকারা: ১৯৭]

দশমঃ হজ পরবর্তীতে আমরা অহংকার-বড়ত্ব প্রকাশ ও রিয়া অর্থাৎ লোকদেরকে স্বীয় আমলের প্রদর্শন জানিয়ে শুনিয়ে দেখিয়ে নিজে তৃপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকব। কেননা এমন মানসিকতা সৎআমল নষ্ট করে দেয়।

একাদশঃ নিজেকে হজের মাধ্যমে সম্মানিত জাহের করা; তা হাজী, আলহাজ ইত্যাদি টাইটেল গ্রহণ ও প্রচার করে বা এ টাইটেলকে পুঁজি করে দুনিয়াবী স্বার্থ অর্জন। এ নীতি আমলটিকে নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। হজ পরবর্তীতে দুনিয়াবী লোভ-লালসার প্রাধান্য ও পূর্ণ দুনিয়াদার হওয়া যেমন দোষণীয়, অনুরূপ হালাল রীতি অনুযায়ী ও উপযোগী পর্যায়ে দুনিয়াবী ব্যস্ততাকে বর্জন করে সংসার ত্যাগীও হওয়া ঠিক হবে না।

দ্বাদশঃ হজের সফরে আমরা বহু শিক্ষা-দীক্ষা গ্রহণ করেছি। তার মধ্যে অন্যতম হল আল্লাহর জন্য নিজেকে সোপর্দ করে দেয়া। এর মধ্যে রয়েছে পিতা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম), তার ছেলে ইসমাঈল (আলাইহিস সালাম) ও তার মাতা হাজেরার অনুসরণ।
অতএব এ শিক্ষা হতে আমাদেরকে উক্ত ত্যাগ-তিতীক্ষা ও শিক্ষা নিতে হবে।

হজ কবুলের আলামত

হজ কবুল হলো কি হলো না, তা জানেন শুধু আল্লাহ তাআলা। তবে হজ কবুলের কিছু বাহ্যিক আলামত বা নিদর্শন রয়েছে। যেমন: যাঁরা হজের পরে কাজকর্মে, আমলে-আখলাকে, চিন্তাচেতনায় পরিশুদ্ধি অর্জন করবেন বা আগের চেয়ে উন্নতি লাভ করবেন, তাঁরাই হবেন প্রকৃত হাজি। কিন্তু যাঁরা হজ করার পরও কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন বা উন্নতি সাধনে ব্যর্থতার পরিচয় দেবেন, তাঁরা হলেন হজে মারদুদ সম্পাদনকারী। হজ করা বড় কথা নয়; জীবনব্যাপী হজ ধারণ করাই আসল সার্থকতা।

নবী করিম (সা.) বলেন, হজ ও ওমরাহর জন্য গমনকারী ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার বিশেষ মেহমান। তিনি দোয়া করলে আল্লাহ তা কবুল করেন। কবুল হজের মাধ্যমে মানুষ নিষ্পাপ হয়ে যায়। (মুসলিম, তিরমিজি, মিশকাত)। যাঁর হজ কবুল হবে, হজের পরও ৪০ দিন পর্যন্ত তাঁর দোয়া কবুল হবে; এমনকি যত দিন তিনি গুনাহে লিপ্ত না হবেন, তত দিন তাঁর সব দোয়া কবুল হতেই থাকবে।

The post হজের পর হাজীদের করণীয় ও আমল (Things to do after Hajj) appeared first on IslamBangla.Com.

]]>