ইসলামের দৃষ্টিতে ভ্রু প্লাগ
মহান আল্লাহ তা’আলা মানুষ ব্যতিত অন্য কোন সৃষ্টিকে এতো সুন্দর আকৃতি আর গঠনশৈলী দিয়ে তৈরি করেননি। মহান আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে বলেন, ‘আমি মানুষকে সর্বোত্তম সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছি।’ (সূরা : ত্বীন, আয়াত : ৪)
দুঃখজনক হলেও সত্য আজকাল মানুষের ছবি বিকৃত করা একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। মানুষের ছবি বিকৃত করা ইসলাম কখনো সমর্থন করে না। আশরাফুল মাখলুকাত মানুষের ছবি বিকৃত করা আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন করার শামিল।
ইসলামে কঠোর নিষেধ থাকা সত্ত্বেও দেখা যায়, সাধারণ মানুষতো বটে অনেক ইসলামী দলের নেতারা পর্যন্ত কারো বক্তব্যে তাদের নিজেদের মতের অনুকূলে না হলেই তার ছবিকে বিকৃত করা হয়। অনেকে মানুষের ছবিকে বিকৃত করে, বিভিন্ন Apps এর সাহায্যে জীব-জন্তুর রূপ দিয়ে ফেসবুকে আপলোড দিচ্ছেন।
যারা এরকম জঘন্য গুনাহের কাজকে নিজেদের সামান্য তুষ্টির জন্য ছবি বিকৃত করছেন তাদেরকে কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহর আদালতে অবশ্যই দাঁড়াতে হবে। কেননা আল্লাহ তার সৃষ্ট মানুষের ছবিকে জীব-জন্তুর ছবিতে রূপান্তর করার অপরাধকে সহ্য করেন না। মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন;
“আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি’ (সুরা বণী ইসরাইল, আয়াত : ৭০)।
কেউ কেউ সৌন্দর্যবৃদ্ধি ও নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য যে সার্জারি করা হয় তাকে কসমেটিক সার্জারি বলে। যেমন- নাক, চিবুক, ঠোঁট, চোখের পাতা, কান, স্তন এসব অঙ্গের সার্জারি করে আকর্ষণীয় করে তোলা। ইসলাম এটাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
দ্রুত গতিতে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য আজই ডাউনলোড করুন MaxThon ব্রাউজার । ইসলামিক বিষয় পড়তে ভিজিট করুন www.IslamBangla.Com
কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি মানুষকে উত্তম অবয়ব দিয়ে সৃষ্টি করেছি।’ (সূরা ত্বিন : ৪)।
এরপরও নিজেকে অনাকর্ষণীয় মনে করে আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন সাধিত করা হারাম। কুরআনে এটাকে শয়তানের কর্ম বলা হয়েছে।
হাদিসে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘আল্লাহ ওই নারীর ওপর অভিশাপ দিয়েছেন যে অন্য নারীর মাথায় কৃত্রিম চুল সংযোজন করে বা নিজ মাথায় চুল সংযোজন করায় । আর যে নিজের শরীরে উল্কি আঁকে বা অন্যকে আঁকিয়ে দিতে বলে।’ (সহিহ বুখারি : ৫৯৩৭ )
লেখকঃ মোঃ রাব্বি সাহিদি সারোয়ার হোসেন