কুরবানি কখন কার উপর ওয়াজিব হয়?
দীর্ঘদিন নিঃসন্তান থাকার পর আল্লাহ নবী ইব্রাহীম (আঃ) কে দান করেছিলেন একটি পুত্রসন্তান। পুত্র ইসমাঈলকেই আল্লাহ্’র আদেশে কোরবানি দিতে উদ্যত হয়েছিলেন। আল্লাহ নবীর আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে পুত্রের বদলে তাকে পাঠান একটি পশু। ঈমানের পথে ত্যাগের এই মহান ঘটনাকে স্মরণ করে আজও মুসলিম উম্মাহ’র প্রতিটি ঘরে পালিত হয় ঈদুল আজহা।
ঈদুল আজহার অবিচ্ছেদ্য অংশ কোরবানি। কিন্তু সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষদের মধ্যে কারা আসলে কোরবানির জন্য সক্ষম হিসেবে বিবেচিত?
কুরবানি কখন কার উপর ওয়াজিবঃ
কোরবানি হলো মুসলিমদের একটি ইবাদত, প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ ফজর থেকে ১২ যিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়েরে মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানি করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়তি, ব্যবসায়ীক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।
আর নেসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তর ক্ষেত্রে নিসাব হল এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। আর সোনা বা রূপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত একাধিক বস্ত মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায় তাহলেও তার উপর কুরবানি করা ওয়াজিব।-আলমুহিতুল বুরহানী ৮/৪৫৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪০৫
দ্রুত গতিতে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য আজই ডাউনলোড করুন MaxThon ব্রাউজার । ইসলামিক বিষয় পড়তে ভিজিট করুন www.IslamBangla.Com
কুরবানি তিন দিন করা যায়ঃ
মোট তিনদিন কুরবানি করা যায়। যিলহজের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তবে সম্ভব হলে যিলহজের ১০ তারিখেই কুরবানি করা উত্তম। -মুয়াত্তা মালেক ১৮৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৮, ২৩ ।
কেউ যদি কুরবানিরর দিনগুলোতে ওয়াজিব কুরবানি দিতে না পারে, তাহলে কুরবানির পশু ক্রয় না করে থাকলে তার উপর কুরবানির উপযুক্ত একটি ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। আর যদি পশু ক্রয় করে ছিল, কিন্তু কোনো কারণে কুরবানি দেওয়া হয়নি তাহলে সেই পশু জীবিত সদকা করে দিবে।
-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৪, ফাতাওয়া কাযিখান ৩/৩৪৫
আরও পড়ুনঃ কুরবানির গুরুত্ব ও ফজিলত
সূত্রঃ ইমাম