ফেরেশতা, কিতাব, নবী-রাসূলদের উপর ঈমান


বিষয়ঃ ঈমান

ফেরেশতাদের উপর ঈমান

আল্লাহর সৃষ্ট ফেরেশতাদের উপর ঈমান আনা বা বিশ্বাস স্থাপন করা ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ফেরেশতাদেরকে আল্লাহ পাক স্বীয় আজ্ঞাবহ হিসাবে নূর দ্বারা পয়দা করেছেন। আমরা যদিও তাদেরকে দেখতে পাই না, তথাপি তাদের প্রতি ঈমান রাখতে হবে। তাদেরকে অবিশ্বাস করা আল্লাহ তা’আলাকে অবিশ্বাস করার তুল্য।

কিতাবসমূহের উপর ঈমান

মহান পালনকর্তা আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে তাঁর প্রেরিত নবী-রাসূলদের নিকট ফেরেশতাদের মাধ্যমে জিন ও ইনসানের হেদায়াতের জন্য তাঁর অনুমােদিত পথে জীবন নির্বাহের জন্য যে সকল হুকুম-আহকাম পাঠিয়েছেন তাকেই আসমানী কিতাব বলা হয়।
আল্লাহ পাক যুগে যুগে নবীদের প্রতি মােট একশত চারখানা কিতাব নাজিল করেছেন। এগুলাের মধ্যে চারখানা কিতাব প্রধান, যথা ঃ (১) যাবুর, (২) তওরাত, (৩) ইঞ্জিল ও (৪) ফোরকান বা কোরআন।

বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় জানতে ভিজিট করুন www.prosno.xyz | সাথেই থাকুন www.IslamBangla.Com ভিজিট করতে থাকুন ।

নবী-রাসূলদের উপর ঈমান

নবী শব্দের অর্থ, সংবাদ দাতা। আর ইসলামী শরীয়াতের পরিভাষায়, আল্লাহ পাক তাঁর বান্দাদের হেদায়াতের জন্য সর্বপ্রকার গুণে গুণান্বিত করে সৎ সভাব ও সৎ চরিত্রে অলঙ্কৃত করে যাবতীয় জ্ঞান বুদ্ধিতে পরিপূর্ণ করে ‘অহী’ প্রেরণ করতঃ জিন ও মানব জাতীর পথ প্রদর্শনের জন্য যাঁদেরকে মনােনীত করেছেন বা প্রেরণ করেছেন, তাদেরকেই নবী বলা হয়। নবী শব্দের বহুবচন হল আম্বিয়া। নবীদের সংখ্যা নিয়া মতভেদ আছে, কারাে মতে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার, আবার কারাে মতে দু লক্ষ চব্বিশ হাজার। এ নবীদের মধ্যে যাদের নিকট আল্লাহ্ তা’আলা অহীর মাধ্যমে কিতাব প্রেরণ করেছেন তারা হচ্ছেন রাসূল। সকল নবী-রাসূলদের প্রতি ঈমান রাখা ফরয।

Hazrat Maolana Sumsul Haque, Mina Book House


Leave a Reply

error: Content is protected !!