জাদু দিয়ে জাদু কাটানোর বিধান | জাদু করা কুফরি


জাদু দিয়ে জাদু কাটানোর বিধান

জাদু করা হারাম ও কবিরা গোনাহ। কারো প্রতি কোনো উদ্দেশ্য হাসিলে জাদু করাকে ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে। কেননা তা কুফরির শামিল। জাদু করা কুফরি বিষয়টি কুরআনুল কারিমে সুস্পষ্টভাবে ওঠে এসেছে।

জাদু কাটানোর জন্য যে জাদু ব্যবহার করা হয় তাকে আরবীতে “নাশরাহ” (প্রকাশ করা, উন্মুক্ত করা) বলে। জাবির রা. বলেন:
 
سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ النُّشْرَةِ فَقَالَ هُوَ مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ
 
“রাসূলুল্লাহ সা.-কে ‘নাশরাহ’ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন: এটি শয়তানের কর্ম।”
 

বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় জানতে ভিজিট করুন www.prosno.xyz | সাথেই থাকুন www.IslamBangla.Com ভিজিট করতে থাকুন ।

মহান আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘তারা ঐ শাস্ত্রের অনুসরণ করল, যা সুলায়মানের রাজত্ব কালে শয়তানরা আবৃত্তি করত। সুলায়মান কুফর করেনি; শয়তানরাই কুফর করেছিল। তারা মানুষকে জাদুবিদ্যা এবং বাবেল শহরে হারুত ও মারুত দুই ফেরেশতার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছিল, তা শিক্ষা দিত। তারা উভয়ই (হারুত-মারুত) একথা না বলে কাউকে (জাদু) শিক্ষা দিত না যে, আমরা পরীক্ষার জন্য; কাজেই তুমি কাফের হয়ো না। অতঃপর তারা তাদের কাছ থেকে এমন জাদু শিখত, যা দ্বারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তারা আল্লাহর আদেশ ছাড়া তা দ্বারা কারও অনিষ্ট করতে পারত না। যা তাদের ক্ষতি করে এবং উপকার না করে, তারা তাই শিখে। তারা ভালরূপে জানে যে, যে কেউ জাদু অবলম্বন করে, তার জন্য পরকালে কোনো অংশ নেই। যার বিনিময়ে তারা নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছে। তা খুবই মন্দ; যদি তারা জানত।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১০২)

এ আয়াতে দুটি বিষয় সুস্পষ্ট যে, জাদু করা কুফরি। আর যারা জাদু করে পরকালে তাদের জন্য কোনো অংশ থাকে না। হাদিসে পাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাতটি কাজকে ধ্বংসাত্মক বলেছেন। তন্মধ্যে একটি হচ্ছে জাদু করা।


error: Content is protected !!